মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং কিলো ফ্লাইটের বৈমানিক ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ, বীর উত্তম গত ১৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, এক পুত্র ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নির্ভিক বৈমানিককে হারিয়েছে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ড-এ মরহুমের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড এবং নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, সম্মানিত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে মরহুম এর পরিবারের সদস্যগণ, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাগণ, বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ, বীর উত্তম ১৯৬৭ সালে কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স প্রাপ্ত হন এবং ২৯ এপ্রিল ১৯৬৮ তারিখে তদানীন্তন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সে বৈমানিক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ৭ই এপ্রিল তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে গমন করেন। পরবর্তীতে, তিনি কিলো ফ্লাইটে যোগদান করেন এবং যুদ্ধবিমানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি কিলো ফ্লাইটের ডিসি-৩ ও এ্যালুয়েট হেলিকপ্টার এর বৈমানিক হিসেবে নরসিংদী, সিলেট ও মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে সরাসরি আকাশযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব ও সাহসিকতার স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
