দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ (২১-১০-২০২৫ খ্রি.) ৩টি অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
👉 অভিযান ০১:
গণপূর্ত অধিদপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও প্রাক্কলন ফাঁস করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় হতে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম গণপূর্ত অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে তথ্যাবলি প্রাথমিকভাবে যাচাই করে। দেখা যায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীন ঢাকা মেট্রো জোন কর্তৃক আহ্বানকৃত ৩টি প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দরদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত দর গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় প্রাক্কলনের প্রায় কাছাকাছি। প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় সংক্রান্ত প্রাক্কলন অত্যন্ত গোপনীয়, তথা এ সংক্রান্ত তথ্য দরপত্রদাতাদের জানার কোন ধরণের সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও বর্ণিত প্রকল্পসমূহে দাখিলকৃত দর অধিদপ্তরের গোপনীয় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় প্রাক্কলনের কাছাকাছি হওয়ায় এ প্রক্রিয়ায় অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগশাজস রয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। বর্ণিত প্রকল্পের টেন্ডার সংক্রান্ত অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
👉 অভিযান ০২:
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালী থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে টিম সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শন করে এবং সেবাগ্রহিতাগণের বক্তব্য গ্রহণ করে। সেবাগ্রহিতাদের নানাবিধ অভিযোগ ও টিম কর্তৃক উদ্ঘাটিত নানারূপ অসঙ্গতি নিরসনে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করে দুদক টিম। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
👉 অভিযান ০৩:
জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, দিনাজপুর- এর প্রধান সহকারীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অনলাইনে খতিয়ান এন্ট্রি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও অন্যান্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, দিনাজপুর থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে দিনাজপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের খতিয়ান এন্ট্রি ফি বাবদ খরচ ও বরাদ্দ, ৪২ (ক) ধারায় মামলা রেজিস্ট্রারের শুনানির গরমিল, অফিসে খরচ বিল ভাউচারের নমুনা সংগ্রহসহ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন কর্মচারীর বিকাশ স্টেটমেন্ট চেক করে অস্বাভাবিক লেনদেন লক্ষ্য করা যায়। দুদক টিম উপস্থিত সেবাপ্রত্যাশীদের থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ সংগ্রহ করে তাদের সমস্যার তাৎক্ষনিক সমাধানের জন্য জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসকে অবহিত করেছেন। এছাড়াও পরবর্তীতে সেবাপ্রত্যাশীদের যেন কোনরূপ হয়রানি না করা হয়, সে বিষয়ে কর্মচারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
একই টিম ১৮ একর সরকারি খাস জমি টাকার বিনিময়ে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্তে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস, বিরামপুর -এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে উক্ত কার্যালয়ে দালালের দৌরাত্ম্যের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া সরকারি খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে দেয়া সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা রয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনাপূর্বক টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
