তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের মঞ্চে গাজার নির্মম ছবি তুলে ধরেন। সেখানে দেখা যায়, ক্ষুধার্ত নারীরা হাতে বালতি ও হাঁড়ি নিয়ে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, অন্তরে হাত দিয়ে বলুন—২০২৫ সালে এই নিষ্ঠুরতার কোনো যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে?
তিনি আরও বলেন, এই লজ্জাজনক চিত্র ২৩ মাস ধরে গাজায় বারবার ঘটছে।
তিনি গাজা যুদ্ধকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ‘অন্ধকার যুগ’ এবং ক্ষুধার্ত ও অপুষ্ট এক শিশুর ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তোলেন, কোন মানবিক বিবেক এই দৃশ্য সহ্য করতে পারে? কে বা নীরব থাকতে পারে? যখন শিশুরা খাদ্য ও ওষুধের অভাবে মারা যাচ্ছে, তখন কি এই পৃথিবীতে শান্তি সম্ভব?
এরদোগান গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণে তিনি বলেন, আমরা আর এই উন্মাদনা চালিয়ে যেতে পারি না। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি হতে হবে। হামলা বন্ধ করতে হবে এবং কোনো বাধা ছাড়াই মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে। যারা গণহত্যা করছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নীরব থাকছে, তারা এই বর্বরতার সহযোগী।
বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অত্যাচারিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ান, মানবতার পাশে দাঁড়ান। গাজার বর্বরতার ঘটনায় আপনার জনগণ ঘরে বসে কেন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে? সাহস দেখান, এখানে ব্যবস্থা নিন। গাজায় যেখানে শিশুরা শিশুদের বড় করছে—সেখানে মানবিক দায়িত্ব পালন করুন।