আজ সোমবার সারাদেশে দুদক ৩টি অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।
👉 অভিযান ০১: আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, নওগাঁ -এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব প্রদান সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নওগাঁ হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম নওগাঁ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস হতে অভিযোগের স্বপক্ষে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস এবং বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ, নিয়ামতপুর হতে অতিরিক্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। দৈবচয়নের ভিত্তিতে কিছু আবেদন যাচাই করে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করা হয়। প্রাথমিক পর্যালোচনায় অসাধু যোগসাজশে বিধিবহির্ভূতভাবে পাসপোর্ট প্রদানের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্রসমূহ পূর্ণাঙ্গরূপে পর্যালোচনাক্রমে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ টিম কর্তৃক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
👉 অভিযান ০২:
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ওষুধ ফার্মেসিতে বিক্রয় এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানে নানাবিধ অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজার হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী, রোগীর স্বজন, জরুরি প্রসূতি সেবা-২ -এর ইনচার্জ এবং স্টোর কিপারের নিকট হতে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করে। স্টোর পরিদর্শনকালে দেখা যায় যে সরকারি ওষুধ মজুদ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের হাসপাতালের বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধপত্র ক্রয় করতে বাধ্য করা হচ্ছে- যা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নির্দেশ করে। এছাড়া সেবা প্রদানে নানাবিধ অনিয়মের চিত্রও দুদক টিমের দৃষ্টিগোচর হয়। হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধের তালিকা, মজুদ ও বিতরণসংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পূর্ণাঙ্গরূপে যাচাই শেষে টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
👉 অভিযান ০৩:
নোয়াখালী জেলাস্থ আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের সেনবাগ ও দত্তেরহাট শাখায় ভুয়া ব্যক্তির নামে ঋণ বিতরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে টিম উক্ত দুই শাখায় বিতরণকৃত ঋণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে। প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে ছয়টি ভুয়া ঋণ বিতরণের মাধ্যমে মোট প্রায় ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অন্যান্য ঋণ হিসাবসমূহের বিষয়ে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
